সিএন ডেস্ক :: ইরাক থেকে মার্কিন সেনা অপমানজনকভাবে বিদায় করতে হবে বলে জানিয়েছেন ইরাকের প্রভাবশালী ধর্মীয় আলেম মুক্তাদা আস-সাদর। তিনি বলেন, মার্কিন সেনারা যদি ইরাকে থাকার চেষ্টা করে তাহলে এ দেশের মাটি হবে তাদের জন্য নতুন ভিয়েতনাম।
ইরাকি সংসদের সবচেয়ে বড় জোটের নেতা দেশটির জাতীয় সংসদকে এক চিঠিতে আরও জানিয়েছেন, মার্কিন সেনা বহিষ্কারের ব্যাপারে জাতীয় সংসদে শুধু একটি প্রস্তাব পাস করাই যথেষ্ট নয়। আমি মনে করি, ইরাকের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির ব্যাপারে আমেরিকা যে পদক্ষেপ নিয়েছে তার তুলনায় এটি দুর্বল পদক্ষেপ।
ইরাক এবং ইরাকের বাইরের প্রতিরোধকামী সংগঠনগুলোকে একটি সম্মিলিত আন্তর্জাতিক প্রতিরোধ ফ্রন্ট গঠনের আহ্বান জানিয়ে মুক্তাদা সাদর বলেছেন, ইরাকে মার্কিন দূতাবাস বন্ধ করে দিতে হবে। আমেরিকার সাথে যে নিরাপত্তা চুক্তি রয়েছে তা দ্রুত বাতিল করতে হবে। মার্কিন সরকারের সঙ্গে যোগাযোগকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করতে হবে। ইরাক থেকে মার্কিন সেনা ‘অপমানজনকভাবে’ বিদায় করতে হবে।
এদিকে, ইরাক থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির পার্লামেন্ট সদস্যরা। গত রবিবার (৫ জানুয়ারি) এক জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ক প্রস্তাবে সই করেন ১৭০ পার্লামেন্ট সদস্য। মার্কিন বিমান হামলায় শুক্রবার ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার দু’দিন পরেই ইরাকের পার্লামেন্টে জরুরি অধিবেশন ডাকেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আদেল আব্দুল মাহদি।
সংসদের আইন বিষয়ক কমিটির প্রধান আমার আল শিবলি বলেন, দায়েশ বা আইএস-কে পরাজিত করার পর মার্কিন সেনাদের এখন আর প্রয়োজন নেই। দেশ রক্ষায় আমাদের সশস্ত্রবাহিনী আছে। ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেয়া দেশটির প্রতিটি নাগরিকের দাবি বলে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা মন্তব্য করেছেন। এখনো ইরাকে কয়েক হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী তাদের পরামর্শমূলক কাজে জড়িত থাকার কথা থাকলেও খোদ ইরাকি বাহিনীর ওপর হামলা চালোচ্ছে।
পাঠকের মতামত: